আলোচিত

মন্ত্রীদের কাজে সন্তুষ্ট নন প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে বর্তমান সরকারের এক বছরে মন্ত্রিসভার সদস্যদের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের এক বছর পূর্তি শেষে নতুন বছরের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এই সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেন।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যদের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করে যুগান্তর

এ সময় অতীতে মন্ত্রীদের সাফল্য স্মরণ রেখে আরো ভালোভাবে কাজ করার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও অতীতের ভুল থেকেও শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি ইরান-মার্কিন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক ধাক্কার আশঙ্কা করেছেন তিনি।

এছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিজনেস পত্রিকা ‘দ্য ব্যাংকার’ আ হ ম মুস্তফা কামালকে বিশ্বের সেরা অর্থমন্ত্রী নির্বাচিত করায় অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ অর্জন কোনো ব্যক্তির নয়। এটি গত ১১ বছরের সরকারের অর্জন।’

একাধিক মন্ত্রী জানান, বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রী যুদ্ধপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধপরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এতটা এগিয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে অর্থনীতির চাপের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। এটি উদ্বেগের। আমরা উৎকণ্ঠিত।’

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে একজন মন্ত্রী অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এক বছরেই যা দেখালেন, আগামী ৪ বছর তো পড়েই রয়েছে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে ইশারায় থামিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থমন্ত্রীর এ অর্জন এক বছরের নয়, ১১ বছরের। এটি কারো ব্যক্তিগত অর্জন নয়। এর দাবিদার আগের অর্থমন্ত্রীসহ সচিবরাও। এর সঙ্গে যারা কাজ করেছেন, তাদের সবাই এই সাফল্যের দাবিদার। আগের অর্থমন্ত্রীর প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত।’

তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button