শিরোপা সুবাসে বছর শেষ করল লিভারপুল
গাজীপুর কণ্ঠ, খেলাধুলা ডেস্ক : ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি তথা ভিএআর বিতর্ক। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। অতঃপর ঘরের মাঠে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ গোলের জয়। পরিস্কার ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ৩০ বছর পর প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের সুবাস নিয়ে বছর শেষ করল অলরেডরা। এটা ছিল ২০১৯ পঞ্জিকাবর্ষে লিভারপুলের ৩১তম জয়।
যদিও লিগের চলতি মৌসুমে একটি ম্যাচ কম খেলেছে লিভারপুল। ১৯ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৫৫ পয়েন্ট। ২০ ম্যাচ থেকে ৪২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে লেস্টার সিটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচ থেকে ৪১ পয়ন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়ছে ম্যানচেস্টার সিটি।
রোববার রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফেল্ডি পয়েন্ট টেবিলে সপ্তম স্থানে থাকা উলভসের বিপক্ষে গোলের দেখা পেতে বেশ সময় নেয় জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ৪২ মিনিটে তারা জালের নাগাল পায়। এ সময় উলভসের বক্সের মধ্যে উড়ে আসা বল টি আপ করে সাদিও মানেকে বাড়িয়ে দেন অ্যাডাম ললনা। মানের নেওয়া শট বাম কোণা দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়।
এ সময় উলভসের খেলোয়াড়রা দাবি করে হ্যান্ডবলের। রেফারি গোলটি বাতিল করেন। পরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) এর সহায়তা নেওয়া হয়। ম্যারাথন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায় ললনা যখন বলটি টি আপ করেন তখন সেটা তার হাতে লাগেনি, লেগেছিল কাঁধে। সে কারণে গোলটি টিকে যায়। এগিয়ে যায় লিভারপুল। যদিও এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি উলভারহ্যাম্পটনের কেউ!
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতাও ফিরিয়েছিল উলভস। এ সময় গোল করেন পেদ্রো নেতো। তার গোলের পর সে কী উল্লাস উলভসদের! কিন্তু ভিএআর এর সহায়তায় দেখা যায় গোল করার সময় জনি ওটো অফসাইড ছিলেন। তাতে বাতিল হয় গোলটি। এ সময় ফুঁসতে থাকে উলভারহ্যাম্পটন শিবির। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ডাগআউটেও। তাইতো উলভসের কোচ নুনো ইসপিরিতো সান্তোকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন রেফারি অ্যান্থনি টেইলর।
দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই চলে উভয় দলের মধ্যে। এই অর্ধে অবশ্য কেউ আর জালের নাগাল পায়নি। তাতে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। জয় দিয়ে শেষ করে বছর। শিরোপার সুবাস নিতে নিতে নতুন বছরে প্রবেশ করবে তারা। যেখানে তাদের জন্য ৩০ বছর পর অপেক্ষা করছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা।