গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : খুন হয়েছেন মা, হত্যার অভিযোগে আটক বাবা। পাঁচ বছরের বাচ্চা সাথীর কী হবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যেই বাবাকে গ্রেপ্তার করা র্যাব কর্মকর্তাই এগিয়ে আসলেন। জানালেন, শিশুটির পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন তিনি। তার জীবন সাজাতে আর যা যা করার দরকার সবই করবেন।
শিশুটি থাকবে অবশ্য তার মামা আনোয়ার হোসেনের কাছেই। পেশায় দিনমজুর এই মানুষটির একটি চাকরির ব্যবস্থাও করে দেবেন র্যাব কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম। তিনি র্যাব-১ এর অধিনায়ক।
সাথীর মা আফরোজা খাতুনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন স্বামী শাহজাহান মিয়া। এই বিষয়টি জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাথীর বিষয়টিও সামনে আসে। আর এখন তার কী হবে-জানতে চাইলে র্যাব-১ অধিকায়ক তাৎক্ষণিকভাবেই বলেন, ‘বাচ্চাটিকে আমি দেখব। তার জন্য যা যা দরকার করব।’
গত ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের ভাওরাইদে আফরোজাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। স্বামী শাহজাহান মিয়া এই খুন করেছেন বলে র্যাবের তদন্তে বের হয়েছে।
এই বিষয়টি জানাতে আয়োজন করা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাথী এবং তার মামা আনোয়ারও। তবে তাদেরকে সাংবাদিকদের সামনে না এনে আলাদা একটি কক্ষে রাখা হয়। বোনের মৃত্যুতে শোকাহত ভাই আনোয়ার ভাগ্নি সাথীর কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আনোয়ার বলেন, ‘আমার বাড়িতেই সে থাকবে। আমি সারা দিন কাজ করে যা ইনকাম করব তাই নিয়ে চলব। আমি দারিদ্র মানুষ হলেও ওকে (সাথী) পড়াশোনা শিখিয়ে করিয়ে বড় করব।’
এ সময় র্যাব-১ এর অধিনায়ক কথা বলে আশ্বস্ত করেন আনোয়ারকে। বলেন, শিশুটির পড়াশোনার খরচের জন্য তাকে ভাবতে হবে না। অধীনস্ত কর্মকর্তাদেরকেও শিশুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘র্যাব-১ এর পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন সময় মানবতার সেবায় কাজ করি। আমি নিজেও বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের সাহায্যে কাজ করেছি। শিশুটিকে দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। আমি ওর মামাকে বলেছি সে যেন নিজের দুই সন্তানের মত সাথীকে বড় করেন। আমি তার ও আনোয়ারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।’
এ সংক্রান্ত আরো জানতে…
গাজীপুরে সেপটিক ট্যাংকে গৃহবধূর লাশ
ঘটনা ধামাচাপা দিতে তিন বন্ধু মিলে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে মরদেহ