চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি
গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া এই চারজনই নারী এবং লেবার পার্টির সদস্য। এদের মধ্যে রুশনারা আলী, রূপা হক ও টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক আগেও এমপি ছিলেন। এবার প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হলেন আফসানা বেগম।
ব্রেক্সিট প্রশ্নে এবারের আগাম নির্বাচন বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হচ্ছিল। নির্বাচনে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির কাছে ভরাডুবি ঘটেছে জেরেমি করবিনের লেবার পার্টির।
কিন্তু বাংলাদেশিদের বিশেষ দৃষ্টি ছিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নয় জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর দিকে। লেবার দল থেকে সর্বোচ্চ সাত প্রার্থীর পাশাপাশি লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও কনজারভেটিভ পার্টি থেকেও একজন করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী এবার নির্বাচনি লড়াইয়ে ছিলেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানিয়েছে, এদের মধ্যে চার নারী প্রার্থী নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আসন।
লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনের ৭২ দশমিক সাত শতাংশ ভোটই পেয়েছেন রুশনারা আলী। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির নিকোলাস স্টোভোল্ট পেয়েছেন ছয় হাজার ৫২৮ ভোট, রুশনারা পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫২ ভোট।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন রুশনারা৷।তিনিই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সংসদ সদস্য। এ নিয়ে টানা চার দফা এমপি নির্বাচিত হলেন রুশনারা। রুশনারার জন্ম ও ছোটবেলা কেটেছে সিলেটের বিশ্বনাথে। সাত বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে ইংল্যান্ড যান তিনি।
প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হওয়া লেবার দলের আফসানা বেগম পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসনে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৬০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী শন ওক পেয়েছেন নয় হাজার ৭৫৬ ভোট।
লন্ডনের টাওয়ার হ্য়ামলেটসেই জন্ম আফসানার। তার আদি পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।
লেবার নেতা রূপা হক ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে ৫১ দশমিক তিন শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রূপার ২৮ হাজার ১৩২ ভোটের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জুলিয়ান গ্যালান্ট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট।
টানা তৃতীয় বারের মতো ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। লেবার পার্টির এই এমপি হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯২ ভোট।