তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-হত্যায় গ্রেপ্তার চারজন পুলিশের গুলিতে নিহত
গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদের পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ৪ অভিযুক্ত।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
তারা জানায়, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই চার অভিযুক্তকে। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই তারা করে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতেই মৃত্যু হয় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত চারজনের।
গত ২৮ নভেম্বর হায়দ্রাবাদের অদূরে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় স্কুটি রেখে অন্য এক চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তরুণী। রাত সাড়ে নটা নাগাদ স্কুটি নিতে গিয়ে দেখেন তার চাকা পাংচার হয়ে গেছে। কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান।
এর মধ্যে দুই যুবক তার কাছে এসে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। তাদের কথায় রাজি হয়ে যান তরুণী। ওই যুবকেরা তার স্কুটি নিয়ে কিছুক্ষণ পর এসে জানায় স্কুটি সারানো সম্ভব হয়নি। তবে তরুণী চিকিৎসককে তারপরেও বাড়ি ফিরতে সাহায্য করার আশ্বাস দেয় ওই যুবকেরা। ঠিক সেই সময় ফোনে বোনের সঙ্গে কথা বলে নিজের শঙ্কার কথা জানান ওই তরুণী।
ইতিমধ্যেই আরো দুই যুবক টোলপ্লাজার কাছে জড়ো হয়। ওই চিকিৎসককে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে নির্জন এক স্থানে নিয়ে যায় ওই যুবকেররা।
সেখানেই চারজন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এসময় তার চিৎকার থামাতে জোরপূর্বক মদ্যপান করানো হয়। তাদের নির্মম অত্যাচারে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। লরিতে চড়িয়ে তার দেহ অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। স্কুটিটির নম্বর প্লেটও খুলে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশের দাবি, মৃত্যুর পর ওই লরিতেও তরুণীকে ধর্ষণ করে চার অভিযুক্ত। এরপর পেট্রোল ঢেলে একটি ব্রিজের নিচে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। পরের দিন ব্রিজের নিচ থেকে গলায় থাকা গণেশের লকেট দেখে তরুণী চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ শনাক্ত করেন তার স্বজনেরা।
এই ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তাকুন্টা চেন্নাকেশাভুলু নামে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তারা জেল হেফাজতেই ছিলো তারা। আজ শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। বাধ্য হয়ে গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৪ অভিযুক্ত।
এ বিষয়ে তেলঙ্গানার আইনমন্ত্রী ইন্দ্রকিরণ রেড্ডি বলেন, ‘অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র কেড়ে পালানোর চেষ্টা করে, ভগবান তাদের সাজা দিয়েছেন।’