গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বিএনপির যেসব নেতা টক শো’তে যান, তাদের জন্য একটি গাইডলাইন দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে দলীয় নেতাদেরকে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দলীয় খবর সংরক্ষণের জন্য একটি সেলও গঠন করা হয়েছে। এই সেলের প্রধান করা হয়েছে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। এই সেল থেকে প্রয়োজনে নেতারা সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘এটি কোনও আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। নির্বাচন পরবর্তী সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটা পার্ট ছিল টক শো।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে উপস্থিত একনেতা বলেন, ‘কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও টক শো’র উপস্থাপক সরাসরি আমাদের বিপক্ষে চলে গেছেন। সেগুলোতে নেতাদের না যাওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতারা। এছাড়া, বিএনপির নেতা এবং সাংবাদিকসহ ১০ জনকে টক শো গুলোতে ডাকা হয় না। সেই বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে।’
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপির নেতাদের টক শো’তে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামীতে আরেকটি বৈঠক করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর বাইরে নির্বাচনি সহিংসতায় যেসব নেতাকর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর- অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ সহায়-সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সগযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত দু’জন নেতা জানান, আগামীতে বিএনপির যেসব নেতা টক শো’তে যাবেন, তাদেরকে যাওয়ার আগে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আলোচ্য বিষয়ের ওপরে দিক নির্দেশনা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন সিনিয়র নেতারা। এছাড়া, টক শো’তে গিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোটের অনিয়ম’সহ নির্বাচনি সহিংসতার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কায়সার কামাল, আবদুস সালাম আজাদ, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, রুমিন ফারহানা, ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ান্থ প্রমুখ।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন