ক্যাসিনো কাণ্ড: দুদকের তালিকায় আরো ২৮ দুর্নীতিবাজ
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায় জড়িতদের তালিকায় আরো নতুন ২৮ ব্যক্তির নাম যোগ হয়েছে।
এ নিয়ে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন ১৮৭ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।
মঙ্গলবার সংস্থাটির মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে নতুন যোগ হওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের ১৫৯ জনের তালিকা আমাদের আগেই ছিল। আজ আরো ২৮জনের তালিকা করে অনুন্ধান শুরু হয়েছে। তাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা আছেন। কিছু বেসরকারি ব্যক্তিবর্গ আছেন। ’
এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ মাহবুব খান বলেন, “চেনা অচেনা নাম আসলে আমার উল্লেখ করা ঠিক হবে না। এটা ইনকোয়েরি লেভেলে আছে। মেইনলি, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও জাতীয় গৃহায়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদের/ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এখানে ইনভলব আছেন।”
তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে।
গত ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেপ্তার হন। এই ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ১৬টি মামলা দায়ের করেছে দুদক।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তাঁর ভাই রুপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন, কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা করে দুদক।
কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রথম ধাপেই ৪৯ জনের নাম দুদকের অনুসন্ধানে চলে আসে। এক এক করে বর্তমানে কমিশনের অনুসন্ধান টেবিলে ১৮৭ জনের নামের তালিকা রয়েছে।