রংপুর মেডিকেলে তুচ্ছ ঘটনায় নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকের মারামারি, চাপা উত্তেজনা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ডেন্টাল ইউনিটের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও স্টাফ নার্সদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের ৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও লাঞ্ছিত হয়েছেন ২ চিকিৎসক। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে নার্সদের মধ্যকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হলেও তা অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো পক্ষই কর্মসূচি না দিলেও সেখানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রমেক হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে ইনজেকশনের ইম্পল ভাঙছিলেন সেখানকার স্টাফ নার্স নিলুফার ইয়াসমিন উর্মি। এসময় ইম্পলের ডিস্টিল ওয়াটারের পানি ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. অনন্যার শরীরের ছিটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ডেন্টাল ইউনিটের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইম্পলের পানি কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক অনন্যার শরীরে ছিটকে পড়লেও উল্টো স্টাফ নার্স উর্মি বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
তবে উর্মির দাবি, ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে চড় থাপ্পর মেরেছে। এ নিয়ে রাত ৯টার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে বৈঠক হলেও তার কোনো সমাধান হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে ৭০ থেকে ৮০ জন স্টাফ নার্স ডেন্টাল ইউনিট ঘেরাও করেন। এ সময় স্টাফ নার্সদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. অনন্যা ও ডা. ফাতেমার ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তাদের রক্ষায় এগিয়ে গেলে ডেন্টাল ইউনিটের সহকারী অ্যধাপক ডা. আরিফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম লাঞ্ছিত হন। পরে অঘোষিত কর্মবিরতি ডেকে স্টাফ নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন।
এদিকে, বিষয়টি সমঝোতায় আনতে ইন্টার্ন চিকিৎসক, স্টাফ নার্সদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহাদৎ হোসেন ও রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) অধ্যক্ষ ডা. নুরুন্নবী লাইজুসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সমঝোতা বৈঠক হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত বৈঠকে কোনো সমঝোতা ছাড়াই অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। তবে কোনো পক্ষই কর্মসূচি দেবে না মর্মে সিন্ধান্ত হয়। বুধবার আবার তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
নার্স অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি ফোরকান আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বৈঠকটি অমিমাংসিতভাবে শেষ হলেও কোনো পক্ষই কমসূচি দেবে না। এ নিয়ে কাল বুধবার বৈঠক হবে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
রমেক হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহাদৎ হোসেন মুঠোফোনে জানান, পরিচালক রংপুরে না থাকায় কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। তবে বৈঠক হওয়ার পর হাসপাতালের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সকলেই কাজে ফিরেছে।
সূত্র: জাগোনিউজ