আলোচিত

সদর দপ্তরে দায়িত্বহীন এসপি হারুন, চলছে অভিযোগের তদন্ত

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলি হয়ে সদর দপ্তরে সংযুক্ত হওয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে এখনো কোনো পদ দেয়া হয়নি। তবে তিনি সদর দপ্তরে যোগদান করেছেন। নিয়মিত দপ্তরে আসেন আর সই করে করে চলে যান। এখনও কোনো দায়িত্ব না পাওয়ায় তাকে কোনো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

গুরুতর অভিযোগের মুখে গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদায় নেন পুলিশের এই বির্তকিত কর্মকর্তা। ওইদিন বিদায় সংবর্ধনায় তাকে কাঁদতেও দেখা যায়। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে বিদায় নেয়ার পরপরই তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করেন। আপাতত তাকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে তিনি তার পদমর্যাদা ও বেতন ভোগ করবেন। কিন্তু কোনও কাজ করতে পারবেন না।

নির্ভরযোগ্য আরেকটি একটি সূত্র মতে, ১০ নভেম্বর সদর দপ্তরে যোগদানের পর প্রতিদিনই দপ্তরে আসেন এসপি হারুন। এসেই সই করে চলে যান। তাকে তেমন কোনও দায়িত্ব পালন করতে হয় না। সবসময় বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় তাকে। তবে বেশি কথাবার্তা বলেন না। আর যতটা পারেন গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে চলেন।

গত ৩১ অক্টোবর রাতে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে ও আম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের ব্যবহৃত গাড়িটি চালকসহ ঢাকা ক্লাব থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ১ নভেম্বর মধ্যরাতে গুলশানের বাসা থেকে রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও তার ছেলে আনাব আজিজকে বাসা থেকে তুলে নেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

পৃথক জায়গা থেকে গাড়ি, এর চালক ও রাসেলের পরিবারের সদস্যদের পুলিশ নিয়ে গেলেও ২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, পুলিশ গাড়িটি আটকের পর এর ভেতর থেকে মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে। তখন গাড়িতে ছিলেন রাসেলের স্ত্রী ও সন্তান।

তবে পুলিশ সুপার হারুনের গল্পে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় শওকত আজিজ রাসেলের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ। তাতেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এরপর ৩ নভেম্বরই নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে এসপি হারুনকে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরের টিআর শাখায় বদলি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানায়, যে অভিযোগে হারুন অর রশিদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেই অভিযোগের তদন্ত চলছে। সদর দপ্তরে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন।

এসপি হারুনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমার কাছে হারুনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আসে নাই। ফলে আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতেও পারব না। তার বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরই ভালো বলতে পারবে।’

এসপি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সেটি সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

 

 

আরো জানতে…

এসপি হারুনের গাজীপুরের অপকর্ম

এসপি হারুনের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

নারায়ণগঞ্জে আলোচনায় এসপি হারুনের আদালত

কেঁদেকেটে নারায়ণগঞ্জ ছাড়লো এসপি হারুন (ভিডিও)

যেভাবে চাঁদাবাজি করতেন বিতর্কিত এসপি হারুন

মিথ্যে মামলায় শওকত আজিজকে ফাঁসাতে এসপি হারুনের ফাঁদ!

বিতর্কিত এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের এসপি হারুনকে বদলি

 

সূত্র: ঢাকা টাইমসক

 

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Prekybos centrų apgaulė su daržovėmis: eksperto perspėjimas Kilpos paskirtis ant bato užpakalinės dalies: mitas Netikėtos sveikatos naudos turintys Neįprasta, bet veikia: kodėl Kaip paprastai pašalinti akmenį 99 % žmonių nežino, kodėl reikia skylės Apsauga nuo Kas naudoja Pasaulinis atšilimas išleido tūkstančius senovinių bakterijų - mokslininkai Pažvelkite į kairįjį delną: paprastas būdas sužinoti tikėtiną Žymė su baltu fonu ir žaliu apvadu: naujovės vairuotojams 6 puikiausių riešutų, kuriuos pripažino mitybos specialistas: naudingiausias pasirinkimas : "Ką