‘মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন’ : আল্লামা শফী
শামসুল হুদা লিটন : হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘আল্লাহর ঘর মসজিদ আর নবীর ঘর হলো মাদ্রাসা। মাদ্রাসা হক্কানী আলেম তৈয়ারীর কারখানা। তাই আখেরাতে মুক্তির লক্ষ্যে নবীর ঘর মাদ্রাসা পরিচালনা করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন’।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কাপাসিয়ার বড়জোনা ‘নূরুল কুরআন-আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত হাফেজ ছাত্রদের ‘দস্তারবন্দী ও ইসলামী মহাসম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমাদ শফি এসব কথা বলেন।
আল্লামা শফী আরো বলেন, ‘নিজ এবং পরিবার পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে হবে। নামাজ কায়েম করতে হবে। নিজের পরিবারকে নামাজী বানাতে হবে। কোন মুসলমানের ঘরে যেন কেউ বেনামাজী না থাকে। এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে ২ কোটি ৮৮ লক্ষ বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। কেউ কোন দিন নামাজ কাজা করবেন না, নামাজের কথা ভুলবেন না। আল্লাহ্ জ্বিন এবং মানুষকে বানিয়েছেন শুধুমাত্র তাঁর এবাদত করার জন্য। সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মধ্যে থাকতে হবে। চলাফেরা-খাওয়া দাওয়া, ঘুম থেকে শুরু করে সর্বদাই জিকির আজকার করতে হবে’।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের নির্বাহী সদস্য আল্লামা আশেকে মোস্তফা সভাপতিত্ব সম্মেলন উদ্বোধন করেন তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ এর চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন উপ-সচিব আলহাজ্ব সামসুল আলম, শাইখুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা মুফতি মনসুরুল হক, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ আমানত হোসেন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, কাপাসিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান প্রমূখ।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জামিয়া কাসেমীয়া ঢাকার প্রিন্সিপাল আল্লামা জুনাইদ আল হাবিব, গাউসুল আজম জামে মসজিদের খতীব আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবি, তা’লীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা রেজাউল করিম প্রমূখ।
সম্মেলনে আল্লামা শাহ আহমদ শফী মাদ্রাসার হাফেজ ছাত্রদের মাথায় পাগড়ী পড়িয়ে দেন। সম্মেলনে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য জেলা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা প্রদান করেন। সেই সাথে আয়োজকদের চার শতাধিক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।