গাজীপুর থেকে শিশু অপহরণ, ১২দিন পর সিলেট থেকে উদ্ধার : আটক ১
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : অপহরণের ১২দিন পর উদ্ধার হলো দশবছর বয়সী কন্যা শিশু। গত ৩১ অক্টোবর গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা মোড় থেকে তাকে অপহরণ করা হয় এবং পরে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে অপহরণকারীরা।
বুধবার সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নিশ্চিতপুর মোল্লাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাহের আলী নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকেও আটক করেছে র্যাব। সে ওই গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
বিকেলে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান উপ-অধিনায়ক মেজর শওকাতুল মোনায়েম। তিনি বলেন, ‘আটকের পর তাহের আলীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই শিশুটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করে। একই সাথে তাকে এক লাখ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করছিল বলেও র্যাবকে জানিয়েছে।’
তিনি আরো জানান, গত ৩০ অক্টোবর গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তায় নানীর সাথে শপিং করতে আসে শিশুটি। এ সময় চৌরাস্তায় তাদেরকে নাস্তা করানোর কথা বলে দুই ব্যক্তি পাশের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে খাবারের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে কন্যা শিশুর নানীকে অজ্ঞান করে শিশুটিতে নিয়ে সটকে পড়ে। সাথে নানীর মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় তারা।’
‘জ্ঞান ফেরার পর নানী তাদের দেখতে না পেয়ে নিজের হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে কল করলে ও প্রান্ত থেকে অপরণকারীরা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অন্যথায় নাতনীকে হত্যার হুমকিও দেন। পরে নানী বাদি হয়ে গত ৭ নভেম্বর গাজীপুর মহানগরের (জিএমপি) বাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-৯)। মামলার পর মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে অপরহণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।’
তিনি বলেন, অবস্থান শনাক্তের পর র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারের পর কন্যা শিশুটি র্যাবকে জানায়, তাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে অপহরণকারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তা স্বীকার করে।’