খেলাধুলা

ইউনাইটেডের নাটকীয় জয়ে ম্লান রোনালদোর গোল

গাজীপুর কণ্ঠ, খেলাধুলা ডেস্ক : চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। কিন্তু ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় যেন গোল করতেই ভুলে গিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো! ৬ ম্যাচ কেটে গেলেও গোল পাচ্ছিলেন না পর্তুগিজ তারকা। রোনালদো বলেই হয়তো বিষয়টা সবার চোখে লাগছিল বেশি।

অবশেষে ৪৫৩ মিনিট পর রোনালদো গোল পেলেন। কিন্তু উপলক্ষটা ম্লান হয়ে গেল দল হেরে যাওয়ায়। শেষ পাঁচ মিনিটের দুই গোলে জুভেন্টাসকে তাদের মাঠেই ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নাটকীয় এই জয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার আশাটা ভালোভাবেই টিকে রইল হোসে মরিনহোর দলের।

রোনালদো চ্যাম্পিয়নস লিগে সবশেষ গোল করেছিলেন গত এপ্রিলে, জুভেন্টাস স্টেডিয়ামেই। তবে সেটা ছিল তার সাবেক দল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। বুধবার গোল-খরাও কাটালেন আরেক সাবেক দলের বিপক্ষে এসে। গোলটাও ছিল দুর্দান্ত।

৬৫ মিনিটে লিওনার্দো বোনুচ্চি প্রায় মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন ডি বক্সে। রোনালদোর পেছনে লেগে ছিল এক ডিফেন্ডার। তাকে কোনো সুযোগই দেননি সিআর-সেভেন। দারুণ এক ভলিতে বল জালে পাঠান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। কিছু বুঝেই উঠতে পারেননি ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর রোনালদোর ওই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন দেখছিল জুভেন্টাসের সমর্থকরা। কিন্তু শেষ পাঁচ মিনিটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইউনাইটেড। ৮৬ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে গোল করে অতিথিদের সমতায় ফেরান বদলি হিসেবে নামা হুয়ান মাতা।

৮৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যায় তারা। এই গোলে ছিল অবশ্য ভাগ্যের ছোঁয়া। বাঁ দিক থেকে অ্যাশলে ইয়াংয়ের ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান জুভেন্টাস গোলরক্ষক। ফিরতি বল গোলমুখে বোনুচ্চির মাথায় লাগার পর জুভেন্টাসের আলেক্স সান্দ্রোর গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

১৯৯৯ সালের ফাইনালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ পাঁচ মিনিটে দুই গোল করে জিতল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের পর গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচ হারল জুভেন্টাস। থেমে গেল তাদের ১৯ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা।

এই হারের পরও চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে আছে জুভেন্টাস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৭। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভ্যালেন্সিয়া। ইয়াং বয়েজের পয়েন্ট ১।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button