গাজীপুর

আবরার হত্যা মামলা: ঢাকা থেকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর ১৯ আসামি

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত ১৯ আসামির সবাই এখন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে। গ্রেফতারের পর বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গ্রেফতারকৃত ১৯ আসামির সবাইকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে পর্যায়ক্রমে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১)। পরদিন ৭ অক্টোবর আবরার হত্যার বিচার দাবিতে আন্দোলনে নামেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ৭ অক্টোবর রাতে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ১৩ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন। মামলাটি তদন্ত করছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ।

পুলিশ এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে অমিত সাহাজনসহ ১৯জনকে বিভিন্নস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গ্রেপ্তারের পর তিন দফায় তাদের এখানে পাঠানো হয়। সর্বশেষ সোমবার অমিত সাহাসহ তিনজনকে এ কারাগারে আনা হয়।

বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পর তাদের ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে রাখা হেয়ছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই, ১৩তম ব্যাচ), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ (সিই, ১৪তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান রবিন (সিই, ১৫তম ব্যাচ), মো. অনিক সরকার, (সিই, ১৫তম ব্যাচ), ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো-মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ১৬তম ব্যাচ), মো. মনিরুজ্জামান মনির (পানিসম্পদ, ১৬তম ব্যাচ), মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৫তম ব্যাচ), মো. মাজেদুল ইসলাম (এমএমই, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোজাহিদুল রহমান (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), খোন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (এমই, ১৬তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই, ১৭তম ব্যাচ), মো. জিসান (ইইই, ১৬তম ব্যাচ), মো. আকাশ (সিই, ১৬তম ব্যাচ), মো. শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, ১৭তম ব্যাচ), মো. শাদাত (এমই, ১৭তম ব্যাচ), মো. তানীম (সিই, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোর্শেদ (এমই, ১৭তম ব্যাচ), মো. মোয়াজ (সিএসই, ১৭তম ব্যাচ) ও মুনতাসির আল জেমিসহ (এমই, ১৭তম ব্যাচ)। এরা সবাই বুয়েট’র একই ছাত্রবাসের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরার হত্যার ঘটনায় জড়িত ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন এখনও পলাতক। তারা হলেন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মাহমুদুল জিসান, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বী তানিম এবং যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button