খেলাধুলাগাজীপুর

এক হাজার খেলার মাঠের সন্ধানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কোনো বেষ্টনি নয়। নয় কোনো গ্যালারি বা ছাউনি। সব দিক উম্মুক্ত- এমন এক হাজার খেলার মাঠের সন্ধানে নেমেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দেশের যুব সমাজকে খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধি করে দেয়ার লক্ষ্যে পুরো দেশ থেকে এই মাঠ খুঁজে বের করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

রোববার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি তার নতুন এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

এ জন্য প্রত্যেক সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হবে পরিত্যক্ত ও খেলার অনুপযোগী হয়ে থাকা মাঠ খুঁজে বের করে তা প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে।

প্রকল্প কবে নাগাদ শুরু হতে পারে? যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমরা এ প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যে তিনটি সভা করেছি। প্রস্তাবনা তৈরি করছি। সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মাঠের তালিকা পেলে তারপর আমরা মন্ত্রণালয় থেকে জরিপ করে তালিকা চূড়ান্ত করবো।’

মাঠগুলো উপজেলাভিত্তিক করার চেষ্টা থাকবে মন্ত্রণালয়ের। ‘আমরা কোনো জায়গা কিনে নতুন মাঠ তৈরি করব না। যেখানে অব্যাহত মাঠ পাওয়া যাবে সেখানে মাটি ভরাট থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু করে দেয়া হবে। তবে মাঠ নেই; কিন্তু খাসজমি আছে। কোনো জেলা প্রশাসক এমন জায়গা দিতে পারলে আমরা সেটাকে মাঠে রূপান্তর করে দেবো’- বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্যরা তালিকা পাঠানোর পর তা জরিপের জন্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন টিম করে দেবে। এক এক টিমকে দুটি জেলার দায়িত্ব দেয়া হবে। ‘আমাদের জরিপের প্রধান উদ্দেশ্য অনুপযোগী মাঠটি কতটা সংস্কার লাগবে তা দেখা। কারণ, আমরা নিচু মাঠ হলেও মাটি ভরাট করে দিতে পারবো; কিন্তু কোনো মাঠ যদি ১০ ফুট পানির নিচে থাকে সেটা করা যাবে না। কারণ বাজেটের একটা বিষয় আছে’- বলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।

সব মাঠের কি একই আয়তন থাকবে? ‘না। যেখানে যে মাপের মাঠ আছে সেটা সে মাপেরই হবে। কোনোটা বড়, কোনোটা ছোট হবে। মাঠের কোথাও কোনো ফেন্সিং বা বেষ্টনি থাকবে না। আমরা চিন্তা করছি, প্রত্যেক মাঠের চারদিকে ড্রেন ও ওয়াকওয়ে করে দেয়ার। তাতে মানুষ খেলাধুলার পাশাপাশি হাঁটাচলাও করতে পারবে’- বলেছেন মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাজার মাঠের প্রকল্পের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর তিনি সম্মতি দিয়েছেন। বলেছেন, এটা ভালো উদ্যোগ। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন মাঠের বিস্তারিত প্রস্তাবনা চাওয়া হবে জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্যদের কাছে। ১০০০ মাঠ আমরা হয়তো একসাথে করতে পারবো না। ধাপে ধাপে প্রকল্পটি শেষ করবো আমরা।’

এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট কেমন হবে তা নির্ভর করছে কতগুলো মাঠ পাওয়া যাবে তার ওপর। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে জরিপের পর। কারণ, জরিপ করে আমরা দেখবো কোন মাঠে কি পরিমাণ কাজ করতে হবে। কি পরিমাণ টাকা লাগতে পারে। সেভাবে বাজেট তৈরি করা হবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকেও এ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির সভাপতি ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, মন্ত্রণালয় প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় তিনটি করে উম্মুক্ত মাঠ যেগুলোর চারপাশে ড্রেন ও ওয়াকওয়ে করে খেলাধুলার উপযুক্ত করে দেয়ার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকমানের ফুটবল ও ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সবরকম প্রস্তুতি অনেক ধাপ এগিয়েছে বলেও সভায় অবহিত করেন।

 

 

সূত্র: জাগো নিউজ

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button