জাতীয়

জয়ের নতুন রেকর্ড গড়ছে আ.লীগ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে দলটি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে; একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন রেকর্ড করে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছে। এতে ২৫৯টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টি (জাপা) পেয়েছে ২০টি আসন। বিএনপি পেয়েছে ৫টি আসন। ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসন পেয়েছে। জাসদ পেয়েছে ২টি আসন। বিকল্পধারা ২টি আসন পেয়েছে। গণফোরাম পেয়েছে ২টি আসন। তরিকত ফেডারেশন ও জেপি পেয়েছে ১টি করে আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৩টি আসন।

জোটগতভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন। আর ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন।

গতকাল রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলে। ভোট শেষে গণনার পর একে একে আসতে থাকে ফল।

১০ বছর পর অংশগ্রহণমূলক এই নির্বাচনে গতকাল ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৩ আসনে আগেই ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। সেখানে পরে ভোট নেওয়া হবে।

তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ফল গতকাল স্থগিত করা হয়।

ভোটে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন। মোট ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন। তরুণ ভোটার প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ভোটের দাবিতে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জনকারী দল বিএনপি ১০ বছর পর দলীয় সরকারের অধীন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।

ভোট চলাকালেই বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের ৭৬ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। ১২ জেলায় সংঘাতে নিহত হন ১৭ জন।

ভোটের ফলাফল আসতে শুরু করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক একচেটিয়া ভোট পেয়ে জয়ী হতে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ বলছে, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব, তা প্রমাণিত হয়েছে।

অন্যদিকে, নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছে রাজনৈতিক জোটটি।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আজ সোমবার বিকেল চারটায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি, এরপর সন্ধ্যা ছয়টায় ২০-দলীয় জোটের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

অন্য নির্বাচনগুলোর তুলনায় এবার দেশে সংঘাত, হানাহানি কম হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের লম্বা লাইনও দেখা গেছে।

নির্বাচনের ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভারত, নেপাল, সার্ক ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) নির্বাচনী পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের মতে, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ভোট শেষ হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button