নির্বাচনী সহিংসতায় গাজীপুরে যুবলীগ নেতা নিহত
গাজীপুর কণ্ঠ : নির্বাচনী সহিংসতায় গাজীপুর মহানগরের হাড়িনাল এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় যুবলীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন (৪০) নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুরে হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লিয়াকত হোসেন গাজীপুর সদরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি ছিলেন। তিনি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদের বড় ভাই। আহতরা হলেন নিহত লিয়াকতের বন্ধু স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. আশরাফ (৪০), আওয়ামী লীগ কর্মী খায়রুল ইসলাম (৪০) ও গনি মিয়া (৪২)।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল হাদী শামীম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে ৪০-৫০ জনের একদল যুবক লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মহানগরের গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজ গেইট, কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ ও আশপাশে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। পরে তারা হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে বসে থাকা আওয়ামী নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওই চারজন আহত হন। তাদের প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে গুরুতর আহত লিয়াকতসহ দুইজনকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাস্তায় লিয়াকতের অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উত্তরায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে লিয়াকত মারা যায়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিয়াকত হোসেনের বুকে ও ডান হাতে জখম হয়। আশরাফ ও খায়রুল মাথায় গুরুতর আঘাত পান। গুরুতর অবস্থায় লিয়াকত এবং আশরাফকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতের ভাই এরশাদ জানান, স্থানীয় ছাত্রদল যুবদল কর্মী সাগর, রুবেল, মারুফ, হিমেলসহ একদল যুবক হারিনাল স্কুলের পাশের নির্বাচনী ক্যাম্পে ঢুকে প্রকাশ্য কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
গুরুতর জখম হওয়ার পর প্রথমে তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে উত্তরা এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপার গাজীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সমীর চন্দ্র সূত্রধর সংবাদিকদের জানান, হতাহতের ঘটনা পূর্ব শত্রুতা না-কি নির্বাচনী সহিংসতা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।