গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : এখন থেকে পণ্য বেচাকেনার সময় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করে পণ্যের দাম লিখতে হবে। পণ্যের দাম লিখে পরে মূল্য পরিশোধের সময় ভ্যাটের অর্থ রাখা যাবে না। ভ্যাটের টাকা অন্তর্ভুক্ত করে গ্রাহকের জন্য পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারণ করে সম্প্রতি আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ।
আদেশে বলা হয়েছে, রসিদে পণ্য বা সেবার বিবরণ, পরিমাণ এবং ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক থাকলে তা যুক্ত করে দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রদর্শন করতে হবে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, পণ্যের মূল্য ট্যাগে ভ্যাটসহ প্রথমে পণ্যের মূল্য লিখতে হবে। একই সঙ্গে ওই পণ্যের দাম, ভ্যাটের পরিমাণ ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য হলে আলাদা করে লিখতে হবে।
যেমন বড় রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুডের দোকানে খেতে গেলে খাবার তালিকা নিয়ে আসেনকর্মীরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খাবার তালিকায় মূল্য লেখার পাশাপাশি ‘প্লাস’ শব্দটি লিখে ভ্যাট লেখা হয়। যেমন কোনো খাবারের দাম ১০০ টাকা হলে এর পাশাপাশি ১০ শতাংশ ভ্যাট লেখা থাকে। এর মানে, ওই ভোক্তা খাবার গ্রহণের পর যখন বিল পরিশোধ করেন, তখন ১১০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এখন থেকে সেটি চলবে না। খাবারের মূল্যের সঙ্গেই ভ্যাট যুক্ত করে ওই খাবারের তালিকা ভোক্তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে, যেন গ্রাহক প্রথমেই বুঝতে পারেন তাঁকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে।
সাধারণ গ্রাহকেরা খাবার ও পোশাক কেনার পাশাপাশি অনলাইনেও পণ্য কিনে থাকেন। খাবারের মধ্যে এসি রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুডে খাবারের ওপর ১০ শতাংশ এবং নন-এসি রেস্তোরাঁয় সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে। নামীদামি শোরুম থেকে পোশাক কিনলে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। অনলাইনে পণ্য কিনলে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হবে। এখন থেকে এসব ব্যবসায় ভ্যাট যুক্ত করে গ্রাহককে দাম দিতে হবে।
সূত্র: প্রথম আলো