শ্রীপুরে সোয়া ৫ মাসে তিনবার ভাঙল সেতুর সংযোগ সড়ক: প্রথম আলো
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শ্রীপুর-কাপাসিয়া সড়কের শ্রীপুর অংশের বাউনি বাজারের পাশে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক সর্বশেষ ভেঙেছে ১২ জুলাই। এ নিয়ে নির্মাণ শেষ হওয়ার সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সেতুর মুখের সংযোগ সড়ক ভাঙল তিনবার। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সড়কের শ্রীপুর অংশের বাউনি বাজারের পাশে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক ১২ জুলাই ভাঙার পর ঝুঁকি নিয়ে চলছে আন্ত–উপজেলাসহ বিভিন্ন গন্তব্যের ছোট-বড় যানবাহন। উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, শিগগিরই সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এ বছরের ৫ মার্চ থেকে এই অংশ দেবে যেতে থাকে। দু-তিন দিনের মধ্যে বেশ বড় ভাঙন দেখা দেয়। পরে সেখানে ইটা ফেলে সংস্কার করা হয়। এরপর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় এখানে আবারও ছোটখাটো ভাঙন দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ১২ জুলাই সেখানে বড় আকারের ভাঙন দেখা দেয়। এভাবে মোট তিনবার একই স্থানে ভাঙন দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কের মুখে প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি অংশ ৮ ফুট গভীর হয়ে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশের ইট খুলে পড়ে আছে পাশের নিচের ফসলি জমিতে। ভাঙনের কারণে এখন সড়কের বাকি ৭ ফুট জায়গা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেতু ও সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ৫৬ লাখ টাকা। এই সেতু নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হয় এ বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, বহু ভোগান্তির পর এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের কিছুদিন পরই সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগস্থল আচমকা দেবে যায়। খবর পেয়ে কিছু ইট–বালু দিয়ে মেরামত করা হয়। আবার মেরামতের কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে পড়ে একই অংশ। এর মধ্যে অন্তত তিনবার ভাঙে সড়কের এ অংশটুকু। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এ সড়কের পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সোলাইমান হোসেন বলেন, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ায় চলাচলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। অথচ এ সড়কের ভাঙনের স্থায়ী সমাধান করা হচ্ছে না। রাতে এ সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
শ্রীপুর থেকে কাপাসিয়াগামী পিকআপের চালক জসিম উদ্দীন জানান, সড়কের ওই অংশে অনেক বেশি সতর্কতার সঙ্গে চলতে হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার সেখানে সড়ক ভেঙে পড়েছে। তখনো দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান কবে হবে?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীপুর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুল হক বলেন, ‘আমরা সড়কটি ভাঙা অংশের সংস্কারে গুরুত্ব দিচ্ছি। এর আগে কয়েকবার সংস্কার করা হলেও তা টিকছে না। এখানে ওপর থেকে পানি পড়ে মাটি সরে এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
সূত্র: প্রথম আলো