আলোচিতসারাদেশ

পেশা ছাড়তে চান ৭১.৭% সাংবাদিক, বিষণ্নতায় ভুগছেন ৪২.৯%

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বাংলাদেশের ৭১.৭% সাংবাদিক তাদের পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। এ ছাড়া ৪২.৯% সাংবাদিক তাদের পেশা নিয়ে বিষণ্ণতায় ভুগছেন। 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে “অ্যান ইনভেস্টিগেশন ইনটু রিস্ক টু মেন্টাল হেলথ অব বাংলাদেশি জার্নালিস্টস” শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষক দলে একই বিভাগের শিক্ষক ড. সরকার বারবাক কারমাল ও সাবেক শিক্ষার্থী আপন দাস গবেষণা দলের সদস্য ছিলেন।

দেশের সংবাদপত্র, স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে কর্মরত ১৯১ জন সাংবাদিকের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা আইজিআই গ্লোবালের “হ্যান্ডবুক অব রিসার্চ ইন ডিসক্রিমিনেশন, জেন্ডার ডিসপ্যারিটি অ্যান্ড সেইফটি রিস্ক ইন জার্নালিজম” শীর্ষক গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৪২.৯% সাংবাদিক তাদের পেশা নিয়ে বিষণ্ণতায় ভুগছেন। বিষণ্ণতায় ভোগা ৪২.৯% সাংবাদিকের মধ্যে ৪৮.৪৮% পুরুষ এবং ৪১.৭৭% নারী। আর পেশাগত হতাশার কারণেই সাংবাদিকতা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে চান ৭১.৭% সাংবাদিক।

গবেষণায় বলা হয়, পেশাগত অনিশ্চয়তাই সাংবাদিকতা বিমুখতার প্রধান কারণ। কেননা, প্রায় ৮৫% সাংবাদিকই চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন। হতাশার আরও কারণের মধ্যে রয়েছে, সময়মতো পদোন্নতি না পাওয়া, কম বেতন পাওয়া এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ।

এদিকে, সাব-এডিটর বা কপি এডিটরদের তুলনায় বেশি বিষণ্ণতায় ভুগছেন রিপোর্টাররা। বিষণ্নতার হার রিপোর্টার ৪৪.৩২%, কপি এডিটরের ৩৪% এবং নিউজ এডিটরের বিষণ্নতার হার ২৮.৫৭%।

গবেষণায় আরও উঠে আসে, নানামুখী হতাশার কারণে অনেক মেধাবী কিছুদিন সাংবাদিকতা করার পর পেশা পরিবর্তন করেন।

সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্য ও পেশাগত সন্তুষ্টি নিয়ে গবেষক দলের প্রধান আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ নিয়ে দেশে সচেতনতার মাত্রা খুবই কম। সাংবাদিকতা পেশা ও সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রশ্নে কর্মক্ষেত্রে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবশ্যই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button