চলে গেলেন আলী যাকের

গাজীপুর কণ্ঠ, বিনোদন ডেস্ক : দুই সপ্তাহ করোনার সঙ্গে লড়াই করার পর মৃত্যু হলো বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নির্দেশক আলী যাকেরের।
বিদায় নিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নির্দেশক আলী যাকের। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। শুক্রবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রথম জানায় তাঁর তৈরি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি। করোনা সংক্রমণও হয়েছিল তাঁর। দুই দিন আগে আলী যাকেরের পুত্র ইরেশ যাকের ফেসবুকে এই খবর পোস্ট করেছিলেন।
গত শতকের সত্তর থেকে নব্বইয়ের দশকে মঞ্চ আর টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করেছেন আলী যাকের। একুশে পদকও পেয়েছেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। বলেছেন, ‘বরেণ্য অভিনেতা আলী যাকের ছিলেন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । তার মৃত্যুতে দেশ একজন বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলী যাকেরেরঅবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর জানিয়েছেন, আলী যাকেরের মরদেহ শুক্রবার বেলা ১১টায় নিয়ে যাওয়া হবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অনুষ্ঠান সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম এই ব্যক্তিত্বকে।
দুপুরে আলী যাকেরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বনানী কবরস্থানে। সেখানে কবরস্থান মসজিদে জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে গত রোববার বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন আলী যাকের। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ১৯৪৪ সালে চট্টোগ্রামে জন্ম হয়েছিল তাঁর।