আলোচিতসারাদেশ

রূপগঞ্জে পুরাতন ব্যাটারির এসিড পোড়া ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ও দাউদপুর ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজাসহ গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের দুটি মৌজায় নির্মাণাধীন পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাস্তাঘাট করা হলেও এখনো জনবসতি গড়ে ওঠেনি। শুধুমাত্র কিছু প্লটে প্রাচীর করা হয়েছে। কিন্ত কেউ থাকে না সেখানে।

আর নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় নির্জনতার সুযোগে স্থানীয় অপরাধীচক্র আর অসাধু ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছেন তাদের ঘাঁটি। তবে ব্যতিক্রম ব্যবসায়ে যুক্ত হয়েছেন এ অঞ্চলের কিছু লোকজন।

রাজধানীর আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ব্যাটারি ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীরা আস্তানা গড়েছে এখানে। পতিত প্লটের জমিতে ছাপড়া ঘর কিংবা সীমানা প্রাচীরের অন্তরালে রাত গভীর হলেই পোড়ানো হয় পুরনো ব্যাটারি। পুরাতন ব্যাটারি থেকে ভিতরের সীসা বের করা হয়। পরে এসব পোড়া ব্যাটারির নির্গত সীসা ও অন্য পদার্থ পুনরায় ব্যাটারি কারখানায় বিক্রি করেন।

আর এসব পোড়ানো ব্যাটারির এসিডের দুর্গন্ধে আশপাশের জমিতে ছাই ফেলে পরিবেশ নষ্ট করে আসছে। আর পূর্বাচলে লোকবসতি হাতে গোনা থাকলেও আশপাশের লোকজন এসব পতিত এলাকাকে ফসল চাষে ও গবাদিপশুর চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার করছে। ব্যাটারির এসব পোড়া ছাইয়ের নিচের ঘাস খেয়ে স্থানীয়দের গবাদিপশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।

পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় র‌্যাব-১ এর সিপিসি-৩ এর কার্যালয়ে দায়িত্বরত র‌্যাব কর্মকর্তা কোম্পানি কমান্ডার ডিএডি আশরাফুল ইসলাম বলেন, র‌্যাবের কর্মসূচিতে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু করার থাকে না। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হয়। পরিবেশ বিভাগকে জানালে উপকৃত হবেন এলাকাবাসী।

রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান বলেন, বিষয়টি জানলাম। পরিবেশ রক্ষায় ওপর একটি অভিযান পরিচালনা করে সর্বনাশা এসব কারখানা সরিয়ে নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যখনই ব্যাটারি জ্বালানো হয় তখন আশপাশের ৩ কিলোমিটার জুড়ে বিষাক্ত ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়ে কালনী ও গোবিন্দ্রপুরের বাসিন্দারা বাধা দিলে দুটি কারখানা সরিয়ে পূর্বাচলের আরও নির্জনে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে একের পর এক কারখানা বেড়েই চলছে পূর্বাচলে।

পুরাতন ভাঙ্গারি ব্যাটারি কারখানার মালিক ফারুক মিয়া বলেন, ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় একটি ব্যাটারি কারখানায় কর্মরত জাহাঙ্গীর নামীয় ব্যক্তি পূর্বাচলের নির্জনে এ ভাঙ্গারি ব্যবসায়ের কথা জানালে যেখানে লোকবসতি কম সেখানে কারখানা গড়ি। আমাকে পার্টনার করা হয়েছে।

এটা তেমন ক্ষতিকর বিধায় নির্জন এলাকায় রাত হলে পোড়ানো হয়। রাজউক চাইলে আমরা যে কোনো সময় কারখানা ভেঙে দেব। আমরা যারা মালিকপক্ষ আছি তারাও তেমন কারখানায় যাই না। ঝুঁকি আছে তাই।

 

সূত্র: খোলা কাগজ

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button