পর্যটন নিষিদ্ধ হলো ছেঁড়া দ্বীপে

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ অংশে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পাশাপাশি সেন্ট মার্টিনে অবস্থানকালে পর্যটকদের ওপর কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। এসব নির্দেশনা দিয়ে গত ১২ অক্টোবর পরিপত্র জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
শীতের শুরুতেই অর্থাৎ নভেম্বর মাস থেকে এই দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত বাড়তে থাকে। সাধারণত নভেম্বর থেকে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত দৈনিক কয়েক হাজার পর্যটক দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপটি ভ্রমণে যান। বছরে এই সংখ্যা প্রায় দেড় লাখের মতো। অথচ ১৯৯৬-৯৭ সাল পর্যন্ত বছরে গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন ওই দ্বীপে যেতেন।
বাড়তি পর্যটকদের চাপে দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। দূষণের কবলে পড়ে বিলুপ্তির পথে দ্বীপের মূল আকর্ষণ প্রবাল। গত দুই দশকে এর সিংহভাগই হারিয়ে গেছে। এখানো ছেঁড়া দ্বীপ অংশে যে কিছুসংখ্যক প্রবাল জীবিত আছে এসব সংরক্ষণেই পরিবেশ অধিদপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্দেশনা অনুয়ায়ী, এখন থেকে সেন্ট মার্টিনের সৈকতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে সেখানে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না। রাতের বেলা কোলাহল সৃষ্টি বা উচ্চ স্বরে গানবাজনার আয়োজন করা যাবে না। টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াতকারী জাহাজে অনুমোদিত ধারণ সংখ্যার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অননুমোদিত এবং অনুমোদনের অতিরিক্ত নির্মাণসামগ্রীর সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ করা হবে। পরিবেশদূষণকারী দ্রব্য যেমন পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদির ব্যবহার সীমিত করা হবে।
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোস্টগার্ডের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে পরিপত্রে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসকারী কার্যক্রমগুলো বন্ধে কোস্টগার্ডকে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।’