গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করা হবে। এজন্য পুরাতন আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী ১২ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব তোলা হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই বর্তমান আইন সংশোধন করে এই প্রস্তাব করা হচ্ছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি সারাদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
ওই আইনের ৯ ধারায় ধর্ষণ এবং ধর্ষণজনিত কারণে মৃত্যু ঘটানো ইত্যাদির সাজা সম্পর্কে বলা আছে। সংবিধান মতে, যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে, অথবা ষোল বৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবেন।
একই সঙ্গে ধর্ষণ অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডেরও বিধান রাখারা হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে সরকার এখন এই আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে।