আইন-আদালতআলোচিত

অস্ত্র মামলায় রায়ে সাহেদের যাবজ্জীবন সাজা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : জালিয়াতি-প্রতারণায় আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

জালিয়াতি ও প্রতরণার অভিযোগে সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া কয়েক ডজন মামলার মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার এই অস্ত্র আইনের মামলারই প্রথম রায় এল।

অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই সাজা। পাশাপাশি আরেকটি ধারায় সাহেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে তার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবনই প্রযোজ্য হবে।

আদালতে উপস্থিত সাহেদ রায় শুনে অনেকটাই নিবির্কার ছিলেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তবে আসামির আইনজীবী মো.মনিরুজ্জামান বলেছেন, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

রিজেন্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।

ওই মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ১৮ জুলাই রাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তার একটি গাড়ি থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল এবং কিছু মাদক জব্দ করা হয়।

ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে এই মামলা করে পুলিশ। এরপর গত ৩০ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইরুল ইসলাম।

গত ২৭ অগাস্ট অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পর এ মামলার কাজ এগিয়েছে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।

আসামি সাহেদ গত ১৬ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি দাবি করেন, যে অস্ত্রের কথা এ মামলায় বলা হচ্ছে, সেটা তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়নি।

দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন আবদুল্লাহ আবু ও তাপস পাল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button