
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি এবার শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। কোন ভাবেই কোন কমিটিতে যেন অনুপ্রবেশকারী এবং বিতর্কিতদের জায়গা না হয় সেজন্য এবার বেশ আট-ঘাট করেই নেমেছেন শেখ হাসিনা। জেলা কমিটির যে তালিকা এসেছে তা অনুমোদন দেয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কমিটির যে সব তালিকা এসেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিতর্কিত কেউ আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখার পরই কমিটির অনুমোদন দেয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছে, জেলা কমিটি, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটি, কিংবা উপ-কমিটি যে কমিটিই হোক না কেন উপযুক্ত যাচাই ছাড়া কোনটাই অনুমোদন দেয়া হবে না। আর এই যাচাই হবে কয়েক ধাপে।
প্রথম ধাপ
যারা কমিটির নাম প্রস্তাব করবেন প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব তাদের। তারা দেখবেন, বিতর্কিত কারো নাম তারা প্রস্তাবিত তালিকায় দিচ্ছেন কিনা।
দ্বিতীয় ধাপ
প্রস্তাবিত তালিকা দলের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক দেখবেন। বিতর্কিত কারো নাম থাকলে তা চিহ্নিত করবেন।
তৃতীয় ধাপ
সম্পাদকমন্ডলীর সভায় এটি বিচার বিশ্লেষণ করা হবে।
চতুর্থ ধাপ
আওয়ামী লীগ সভাপতি এই তালিকা যাচাইয়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা গুলোকে দেবেন এবং তারা এ সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন।
পঞ্চম ধাপ
পাঁচ নেতা গোয়েন্দা রিপোর্টের পর পুনঃনিরীক্ষা করে চুড়ান্ত প্রস্তাবিত তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতিকে দেবেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, যে পাঁচ নেতা শেষ দফায় এই তালিকা খতিয়ে দেখবেন, তাদেরকে পুরো কার্যক্রম তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই পাঁচ নেতা হলেন দলের সাধারণ-সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল (অবঃ) ফারুক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।
এদের মধ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সেক্ষেত্রে বাকি ৪ জন পুরো কার্যক্রম তদারকি করবেন, বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন একজন অনুপ্রবেশ কারীও যেন এবার কমিটিতে জায়গা না পায়। আর তার এই নির্দেশ প্রতিপালনে আওয়ামী লীগের ‘পঞ্চপান্ডব’ মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার