
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ ও নারী চারজন। হাসপাতালে ২৫ জন ও বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার হাজার ৭৫৯ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ৮৪৭টি নমুনা সংগ্রহ হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ২১৬টি। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৮১২ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৩৯ হাজার ৩৩২ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৬টি।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আর বাংলাদেশে সর্বশেষ যে ২৬ জনের মৃত্যু হলো, এর ফলে দেশটি করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যার দিকে দিয়ে চীনকে ছাড়িয়ে গেল।
চীন হলো সেই দেশ যেখানে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল ওই দেশের উহান শহরে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, চীনে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৪,৭৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৫১২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪৩ হাজার ১৫৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭১ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪০ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের পুরুষ তিন হাজার ৭০৮ (৭৭ দশমিক ৯২ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৫১ জন (২২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২৬ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ এবং ষাটোর্ধ্ব ১০ জন রয়েছেন।