পূবাইলে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া: ২ কাঠা জমি দাবি, না পেয়ে ধর্ষণ মামলা!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পূবাইলে পরকীয়া ধরতে গিয়ে তিন যুবক এখন ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে কারাগারে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, পূবাইল বাজার সোনালী ব্যাংকের পাশে নয়ানী পাড়া হিন্দু মহল্লার সুদর্শন বাবুর ভাড়া বাসায় ঈদের পরদিন এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় যুবক টুটুলের অবৈধ সম্পর্ক হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয় যুবকরা। ওই দিনই স্থানীয় মন্দির কমিটি প্রবাসীর স্ত্রীর বড় ভাইয়ের অনুরোধে বোনের সংসার ভেঙে যাবে মনে করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। পরে ওই নারী বেকে বসে। পরকীয়া ধরা ফেলায় স্থানীয় তিন যুবকের নামে উল্টো ধর্ষণ মামলা করে। পরে ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অপরদিকে ঘটনার পরপরই প্রেমিক টুটুল তার পরিবার নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে। আর মামলার বাদীর বড় ভাই চন্দন দাস দুই কাঠা জমি লিখে দিলে ধর্ষণ মামলা থেকে ওই তিন যুবককে অব্যাহতি দেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
গ্রেপ্তার যুবকরা হলেন- পূবাইল নয়ানী পাড়া হিন্দু মহল্লার গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম কুমার দাস(৩০), লনীনি চন্দ্র দাসের ছেলে সহদেব চন্দ্র দাস (২৮)ও নিতাই চন্দ্র দাসের (ভাসা) ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস (৪০)।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পূবাইল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর বলেন, পালিয়ে যাওয়া টুটুলের ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া আসল রহস্য বের করা যাবে না। যদিও এলাকাবাসী এখন বাদীর মেয়ের বিরুদ্ধে বলছে।
মামলার এজাহারে দেখা যায়, বাদী ঘটনার সময় তারিখ উল্লেখ করেছেন ৩ আগষ্ট সোমবার ভোর ৪টায়। কিন্ত ঘটনা ঘটেছে ও শালিস হয়েছে ২ আগষ্ট রোববার।
স্থানীয়রা ও মন্দির কমিটি জানান, পরকীয়ার বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দিই। কিন্তু কী কারণে ঘটনার দুদিন পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে যারা পরকীয়ায় হাতে নাতে ধরেছে তাদেরকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠালো তা আমাদের বোধগম্য নয়। শুনেছি পরকীয়ার প্রেমিক টুটুল ধর্ষণ মামলার সাক্ষী আর যারা ধরিয়ে দিল তারা ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে এখন জেল হাজতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
ওই বাড়ির মালিক ও মন্দির কমিটির উপদেষ্টা সুদর্শন চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনা জানতে পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর বড় ভাই চন্দনের কথায় তার সংসার রক্ষায় পূবাইল বাজার রাধা মাধব মন্দিরে বসে আমরা বিষয়টি মীমাংসা করে দিই। কিন্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে মহল্লার তিন যুবককে জেল হাজতে পাঠিয়ে ২ কাঠা জমি দাবি করছে বাদীর পরিবার।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক রামু দাস জানান, ধর্ষণ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। বিষয়টি মীমাংসা করেছি আমরা।
মন্দিরের কোষাধ্যক্ষ স্বপন দাস বলেন,পরিকল্পনামাফিক জমি হাতিয়ে নিতে কল্পিত মামলায় নির্দোষ যুবকদের ফাঁসিয়ে দেবে তা বুঝতে পারি নি।সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
জিএমপি’র পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, এই মামলার তদন্ত চলমান। আগেই বলা যাচ্ছে না কে দোষী কে নির্দোষ।
সূত্র: যুগান্তর