কারাগার থেকে কয়েদি পলায়ন, তদন্ত কার্যক্রম শুরু

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারা ফটকে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন এ তথ্য জানান।
কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমরা তদন্তের প্রাথমিক কার্যক্রম শেষ করেছি। বাকি কার্যক্রম খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন।
নতুন করে কাউকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা—জানতে চাইলে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক বলেন, নতুন করে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে সুপারিশ করবে। আমরা তদন্ত করছি, এ ঘটনায় কারা দায়ী, কীভাবে পালিয়ে গেল—এগুলো বের করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় লকআপের সময় কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে নিখোঁজ হন যাজজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক। কারাগারে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৮ আগস্ট) সকালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কারাগারে পৌঁছে তদন্ত কাজ শুরু করে।
তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন—কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ঢাকা) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং মানিকগঞ্জের জেলা কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক নিখোঁজ রয়েছে। কয়েদি নিখোঁজের এ ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো: বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় শুক্রবার বিকেলে মামলা দায়ের করেছেন।
কাশিমপুর কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিখোঁজ কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা এলাকায়। হত্যা মামলায় প্রথমে তার ফাঁসির দণ্ড হয়। পরবর্তীতে আপিলে তার সাজা হয় যাবজ্জীবন। ২০১১ সালের ১৪ জুন তাকে রাজশাহী কারাগার থেকে এ কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের সময় আসামীদের গণনার সময় থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তার সন্ধানে বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার কারাগারে খোঁজাখুঁজি করা হয়। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এর আগে ২০১৫ সালে সে কারাগারের ভেতর বন্দিদের থাকার সেলের পাশে সেফটি ট্যাঙ্কে লুকিয়ে ছিল। পরে তাকে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কে এ কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
আরো জানতে…
কারাগার থেকে কয়েদি পলায়ন: ৬ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা, ৬ জন বরখাস্ত