আলোচিত

পুলিশের হাজতখানায় এফডিসি কর্মকর্তার মৃত্যু, পরিবারের দাবি ‘পিটিয়ে হত্যা’

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় পুলিশের হেফাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু (৪৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।

পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি হাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর পরিবারের দাবি, আবু বক্কর সিদ্দিককে পিটিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক এফডিসিতে চাকরি করতেন। শনিবার সারা দিন তিনি অফিসেই ছিলেন। সন্ধ্যার পরে তিনি খিলগাঁওয়ে বাসায় ফেরার কথা থাকলেও বাসায় যাননি। শনিবার রাতেই তাকে এক নারীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল পুলিশ। পরে রোববার সকালে পুলিশের মাধ্যেমেই তার মৃত্যুর সংবাদ পায় পরিবারের সদস্যরা।

জি এম সাইফ নামে নিহতের এক স্বজন বলেন, ‘আবু বক্কর সিদ্দিককে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে বলছে না পুলিশ। আর থানার ভেতরে পুলিশ পাহারায় কীভাবে একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে! ওর (নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক) শরীরে-মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই এটি আত্মহত্যা হতেই পারে না। আবু বক্কর সিদ্দিককে পিটিয়েই হত্যা করা হয়েছে।’

এই বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (এফডিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া বলেন, ‘হাজতখানায় সব সময় একজন পুলিশ কনস্টেবল হলেও পাহারায় থাকেন। তাহলে কীভাবে আবু বক্কর সিদ্দিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হোক। সে এফডিসির একজন কর্মকর্তা ছিল। পুলিশও সরকারি কর্মচারী, আমরাও সরকারি কর্মচারী। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন এই মৃত্যুর রহস্য খুঁজে বের করা হোক।’

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সাতরাস্তা এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারী ও তার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করে থানায় ফোন করেছিল। এরপর থানা থেকে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আবু বক্কর সিদ্দিককে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই নারী নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।’

হাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বলেন, ‘এটি একটি আত্মহত্যা। কারণ আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। সেখানে পুরো ঘটনাটি স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।’

 

সূত্র: আমাদের সময়

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button