ভবানীপুর-মির্জাপুর সড়ক বেহাল, মেরামতে তালবাহানা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মনিপুর-তালতলী-বিকেবাড়ী-ডগরী হয়ে মির্জাপুর বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ গত প্রায় আড়াই বছর ধরে সড়কটি মেরামতে তালবাহানার অভিযোগ উঠেছে জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের বিরুদ্ধে।
সড়কটির মির্জাপুর ইউনিয়নের তালতলী থেকে পশ্চিম ডগরী পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে ৪-৫ ফুট গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ডগরী থেকে মির্জাপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দের কারণে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এক বছরেও বেশি সময় ধরে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মির্জাপুর ইউনিয়নের ৩নং ডগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পশ্চিম ডগরী জামে মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের কারণে পায়ে হেঁটে চলাচলও মুশকিল হয়ে পড়েছে। সড়কটির এই অংশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে প্রায় এক বছর ধরে। এতে বিকল্প পথে ভবানীপুর, বেগমপুর, মনিপুর ও পিরুজালীসহ সদরের বিভিন্ন এলাকার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষকে বিকল্প পথে মির্জাপুর যেতে হচ্ছে।
মির্জাপুর ইউপি সদস্য মো. আসকর আলী জানান, গত বছর এবং চলতি বছর উপজেলা মাসিক সভায় সড়কটি মেরামতের জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। গত তিন মাস আগে বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সড়কটি পরিদর্শন করেছে।
অনুসন্ধান বলছে, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং গাজীপুর এলজিইডির পক্ষ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কটি দ্রুত মেরামতের আশ্বাসের পর ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সড়কটি মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া সড়কটি মেরামতে প্রাক্কলন (ইস্টিমেট) তৈরিতেই এলজিইডি সময় অতিবাহিত করেছে ৮ মাস।
গাজীপুর সদরের স্থানীয় অধিবাসী ও গণমাধ্যমকর্মী ওবাইদুল ইসলাম জানান, বেহাল সড়কটির কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাজারো শ্রমিকের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। খানাখন্দে ভরা সড়কটির কারণে অগণিত কৃষক তাদের কৃষিপণ্য গাজীপুর সদরের একমাত্র হাট ‘মির্জাপুরে’ নিতে পারছে না।
গাজীপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন জানান, ভবানীপুর থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কটি এতটাই বেহাল যে মেরামতের অবস্থায় নেই।
এ কারণে সড়কটি ১৮ ফুট প্রশস্ত করে নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রাক্কলন (ইস্টিমেট) প্রেরণ করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় হবে প্রায় ৮ কোটি টাকা। চলতি বছরেই সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেবেকা সুলতানা জানিয়েছিলেন, সড়কটি উন্নয়নের জন্য বিগত দিনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।