শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যালে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ১৫ সদস্যকে দণ্ড
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক ও দালাল চক্রের ৮ নারীসহ ১৫ সদস্যকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানার বাড়িয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে আলম ভুইয়া (২৯), একই থানার হাজীবাগ এলাকার আতিকুর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম(২২) ও কৃষি গবেষণা এলাকার নাজিমুদ্দিনের ছেলে ফরিদুজ্জামান (২৮), পূবাইল থানার বিল্লাসারা গ্রামের সাদেক মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা(৩০), একই থানার উজিরপুরা এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে শরীফুল ইসলাম (৫০), সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার বনধান গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে রাশিদুল ইসলাম (২১), বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (৩০) ৩দিনের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
এছাড়াও আদালত সদর থানার হাজীরবাগ এলাকার আজিজুল হকের স্ত্রী শান্তনা বেগম (৩০), একই গ্রামের মকবুল হোসেনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩০) ও মোস্তফার স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), একই থানার তরুবিথী এলাকার আতাউর রহমানের স্ত্রী আমেনা বেগম (২৭), ভোরা এলাকার রিপন পাটোয়ারীর স্ত্রী শিরিন বেগম (৩৫), ইছালী এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী কামরুন্নাহার (৩০), বাঙ্গালগাছ এলাকার মৃত আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা (৪৪) এবং কালীগঞ্জ থানার তুমুলিয়া গ্রামের মৃত হারিছের স্ত্রী সাথী বেগমকে (৩০) ২দিনের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
র্যাব-১’র স্পেশালাইজ কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক/দালাল চক্রের সদস্যরা অবস্থান করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কৌশলে ভাগিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি ও রোগ পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়। বিনিময়ে তারা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ভাতা/বকশিস পায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান এ চক্রের সঙ্গে জড়িত ৮ নারীসহ ওই চক্রের ১৫ জনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থান্দার কামরুজ্জামান এর ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
পরে আটককৃতরা আদালতে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে প্রতারণার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এদের মধ্যে ৭ পুরুষকে ৩দিন করে এবং ৮ নারীকে ২দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও দালাল।