আলোচিত

দুর্নীতি ও অদক্ষতাই বিমানকে ডোবাচ্ছে

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : যাত্রী বেড়েছে, বহরে নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজও বেড়েছে। তারপরও গত বছর লোকসান দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ জন্য অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম–দুর্নীতি দায়ী বলে মনে করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এরই মধ্যে এক তদন্তে গত বছর পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ করছে।

এর মধ্যে গত বুধবার মিয়ানমারে একটি ড্যাশ–৮ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে। প্রাণহানি না হলেও ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজটি যে আর উড়তে পারবে না, তা প্রায় নিশ্চিত। এর ফলে বহরের একটি উড়োজাহাজ বসে যাওয়ায় গত চার দিনে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের ১০টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে বিমানকে। অবশ্য এরই মধ্যে একটি উড়োজাহাজ ভাড়ায় এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

বিমানের হিসাব শাখার তথ্য অনুযায়ী, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দুই বছর বিমান লাভ করলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিষ্ঠানটি আবার লোকসানে পড়ে। গত ৯টি অর্থবছরের মধ্যে ৬ বছরই লোকসান দিয়েছে। টাকার অঙ্কে সেটা ১ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। বাকি ৩ বছরে লাভ করেছে ৫৫৯ কোটি টাকা। মোট লাভ–লোকসান যোগ–বিয়োগ করলে ৯ বছরে মোট লোকসান দাঁড়ায় প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। এর বাইরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে দেনা আছে আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপরে। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান এখন মূলধন সংকটে পড়েছে। মূলধনের চেয়ে ঋণ কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় হারিয়েছে ঋণ যোগ্যতাও।

আর্থিক এই দুরবস্থার মধ্যেও চলেছে অনিয়ম-দুর্নীতি। কর্তাব্যক্তিদের অদক্ষতা ও গাফিলতির কারণেও হচ্ছে আর্থিক ক্ষতি। এরই মধ্যে উড়োজাহাজ কেনা, ভাড়া নেওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং কার্গো শাখায় ও টিকিট বিক্রিসহ বিমানের ৮টি খাতে দুর্নীতি হয় বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিমান প্রতিমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে দুদক। তাতে বলা হয়, খাতগুলোর দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

বিমানের দায়িত্বশীল পদে থাকা সাবেক ও বর্তমান ১০ জন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁদের মতে, বিমানের দুরবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী অদক্ষ ব্যবস্থাপনা। সেই সূত্র ধরে আছে ব্যাপক অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগ। এই অবস্থায় বিমানকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রথম দরকার একটা দক্ষ ব্যবস্থাপনা, যা গত ৪৭ বছরেও হয়নি। এরই সঙ্গে জরুরি দুর্নীতি বন্ধ ও অসাধু কর্মীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি।

বিমানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিমানের দরকার জরুরি একজন চৌকস প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা দল।

বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, ‘এমডি পদে নতুন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। কেবল এমডি নিয়োগ নয়, বিমানে একটা ভালো ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন আনার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

বিমান সূত্র বলছে, বিমানের এমডি পদে এরই মধ্যে ১০০ জনের মতো আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে এক মাস মেয়াদ বাকি থাকতেই গত ৩০ এপ্রিল পদত্যাগ করেন বিমানের এমডি মোসাদ্দিক আহমেদ। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পাইলট নিয়োগ ও বিদেশি স্টেশনে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদ এমডিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।

অনিয়ম-দুর্নীতি গলার কাঁটা
বিমানের আর্থিক সংকটের কথা কর্তাব্যক্তিরা সবাই জানেন। কিন্তু অনিয়ম-দুর্নীতি-অপচয় বন্ধে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি কেউ। যেমন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো শাখায় বিপুল অঙ্কের দুর্নীতির একটা চিত্র উদ্ঘাটিত হয়েছে বিমানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায়। ১০ বছরে অন্তত ৩৬০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর একটি তদন্ত কমিটি হয়। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন আর প্রকাশিত হয়নি।

বিমানের উড়োজাহাজ ভাড়া করা ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক পুরোনো। ভাড়ার চুক্তিতে বিমানের স্বার্থ না দেখার নজিরও ভয়ংকর। তেমনি একটি ঘটনায় বিমানকে এখনো খেসারত দিতে হচ্ছে।

২০১৪ সালে ৫ বছরের জন্য মিসরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ (বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর) ভাড়ায় আনা হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে যাত্রী পরিবহন করুক আর না করুক, মাসে উড়োজাহাজপ্রতি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ডলার (৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা) ভাড়া দিতে হবে। সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বহন করতে হবে। ভাড়ার মেয়াদ শেষে উড়োজাহাজ দুটি আগের অবস্থায় ফেরত দিতে হবে। কিন্তু এক বছরের মাথায় একটি উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। তখন ইজিপ্ট এয়ার থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলারে ইঞ্জিন ভাড়ায় এনে উড়োজাহাজটি সচল করা হয়। নষ্ট ইঞ্জিনটি মেরামতের জন্য পাঠানো হয় বিদেশে। সেটা মেরামত করে আনার আগেই আরেকটি ইঞ্জিন বিকল হয়। আবার মাসে ১০ হাজার ডলার ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি অনুযায়ী উড়োজাহাজ দুটি আগের পর্যায়ে নিয়ে ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক বছর ধরে উড়োজাহাজ দুটি মেরামতের জন্য ভিয়েতনামে রেখে প্রতি মাসে ১০ কোটি করে ১২০ কোটি টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে। এ নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি বিমানের প্রধান কার্যালয় গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সচিব মহিবুল হক।

শুদ্ধি অভিযান শুরু
দেরিতে হলেও সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় বিমানে একধরনের শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। গঠন করেছে একাধিক তদন্ত কমিটি। একই সঙ্গে দুদকও একাধিক তদন্ত দল গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

গত ৩ এপ্রিল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিমানের বিপণন ও বিক্রয় শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আশরাফুল আলম এবং উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলামকে এমডির দপ্তরে সংযুক্ত বা ওএসডি করা হয়। শফিকুল ইসলাম চার বছর বিমানের যুক্তরাজ্যে কান্ট্রি ব্যবস্থাপক ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি ২ হাজার ৪৭২টি টিকিট বিনা মূল্যে বিক্রি দেখিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর বিপণন ও বিক্রয় শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির পক্ষে টিকিট ব্লক করে সুবিধা দিয়েছেন। এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।

দুদক সূত্র জানায়, তাদের অনুসন্ধানে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনায় বিমানের ১৪৭ জনের নাম এসেছে। তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সদ্য বিদায়ী এমডি ও সিবিএ নেতাসহ ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘দুনীতি ধরার কাজ শুরু করেছি। কারও কোনো কার্যক্রমে বিমানের ক্ষতি হলে সেটা আমরা সহ্য করব না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভাঙা এবং সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করছেন। আশা করছেন মেঘ কেটে যাবে।

যাত্রী বাড়লেও লোকসানের পাল্লা ভারী
বিমানের আয়–ব্যয়ের শাখা থেকে জানা যায়, ১৯৯১–৯২ থেকে ২০০৩–০৪ অর্থবছর পর্যন্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল বিমান। এরপর আবার টানা লোকসানে পড়ে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিমানকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরই লাভ করে বিমান। এরপর ২০০৯–১০ থেকে ২০১৩–১৪ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর লোকসান দেয় বিমান। তারপর তিন অর্থবছর লাভ করে। গত অর্থবছরে (২০১৭–১৮) এসে আবার লোকসান দেয়। গত ৯ বছরের মধ্যে ৬ বছরে বিমানের মোট লোকসান ১ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। বাকি ৩ বছর মোট লাভ হয় ৫৫৯ কোটি টাকা।

অথচ বিমানের যাত্রী পরিবহনের হিসাব বলছে, ২০১৬–১৭ অর্থবছরে ২৩ লাখ ৫১ হাজার যাত্রী পরিবহন করে বিমান লাভ করে ৪৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। পরের বছর ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি যাত্রী পরিবহন করেও লোকসান দেয় ২০১ কোটি টাকা। আবার ২০১৪–১৫–তে যাত্রী ছিল আরও কম (২০ লাখ ২০ হাজার), তখনো লাভ করে ২৭৬ কোটি টাকা।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজের দাবি, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে গত বছর লোকসান দিতে হয়েছে।

তবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি শুনেছেন, বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না, আবার অর্ধেক আসন খালি যায়। এ নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিছু সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে। সেসব দূর করার চেষ্টা করেছেন। এখন ৯০ শতাংশের ওপর আসন পূর্ণ থাকে, অনেক ক্ষেত্রে শতভাগ বলে তাঁর দাবি।

উড়োজাহাজ বেড়েছে কমেছে গন্তব্য
বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ২৬টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে কার্যক্রম পরিচালনা করত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। পরে বিভিন্ন সময় নিউইয়র্ক, ম্যানচেস্টার, ফ্রাঙ্কফুর্ট, আমস্টারডাম, রোম, প্যারিস, ব্রাসেলস, জাপানের নারিতা, ত্রিপোলি, হংকং, দিল্লি, মুম্বাই ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এর কিছুদিন আগেও ২২টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা হতো। এখন সেটা ১৫–তে নেমে এসেছে। আর অভ্যন্তরীণ সাতটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান।

একসময় বিমানের উড়োজাহাজ সংকট ছিল প্রকট। অধিকাংশ উড়োজাহাজ ছিল বেশ পুরোনো, প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হতো। এখন সে সংকট নেই। তারপরও সময়মতো ফ্লাইট না ছাড়ার বদনাম থেকে বের হতে পারছে না বিমান। ফ্লাইট পরিচালনা শাখার কর্মকর্তাদের দাবি, বিলম্বের হার কমেছে। এখন ৭০–৭৭ শতাংশ ফ্লাইট সময়মতো ছাড়ছে।

এখন বহরে আছে ১৩টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ২টি ড্রিমলাইনার (বোয়িং ৭৮৭–৮),৪টি ৭৭৭–৩০০ ইআর,৪টি ৭৩৭–৮০০ ও ৩টি ড্যাশ–৮। একসঙ্গে এত সংখ্যক নতুন উড়োজাহাজ এর আগে কখনো বিমানবহরে ছিল না। আরও দুটি ৭৩৭–৮০০ উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনা হচ্ছে। আগামী জুলাই ও সেপ্টেম্বরে আসছে বোয়িং থেকে কেনা বাকি দুটি ড্রিমলাইনার। আগামী বছর আসবে আরও তিনটি ড্যাশ–৮।

উড়োজাহাজ বাড়তে থাকলেও সেভাবে গন্তব্য বা ফ্লাইট বৃদ্ধির কথা জানা যাচ্ছে না। কেবল সাড়ে চার বছর আগে বন্ধ হওয়া দিল্লি ফ্লাইট আবার চালু হচ্ছে আজ ১৩ মে। চীনের গুয়ানজুতে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও এখনো অনুমতি পায়নি।

দেনা ও পুঁজির সংকট
বিমান বড় ধরনের পুঁজির সংকটে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে। হিসাব শাখার তথ্য অনুযায়ী, বিমানের মূলধন ২ হাজার ৮২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ঋণ ৫ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। নতুন চার উড়োজাহাজ কিনতে নেওয়া ঋণ যুক্ত করলে এটা বেড়ে দাঁড়াবে ৯ হাজার কোটি টাকা।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, লোকসান, ঋণ যোগ্যতা হারানো, দেনাসহ আর্থিক দৈন্য নিয়ে বিমানের কর্তাব্যক্তিদের কোনো হেলদোল নেই। তাঁদের আশা, সরকার তহবিল দিয়ে এই ‘শ্বেতহস্তী’কে টেনে যাবে।

 

সূত্র: প্রথম আলো

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button