আলোচিত

ব্যবসায়ীকে চরমপন্থি সাজিয়ে আত্মসমর্পণ!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পাবনায় চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আত্মসমর্পণকারীদের একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন যে, তাকে চরমপন্থি সাজিয়ে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে।

তার দাবি, তিনি চরমপন্থি দলের সদস্য নন। পাবনার পুলিশ সুপারও স্বীকার করেছেন, এ ধরনের কিছু অভিযোগ ও ত্রুটি আছে। তদন্ত চলছে।

৯ এপ্রিল পাবনায় ১৪ জেলার ৫৯৫ জন ‘চরমপন্থি’ আত্মসমর্পণ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য ও পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে তারা আত্মসমর্পণ করে এবং ৬৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫৭৫টি দেশীয় অস্ত্র জমা দেয়।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আত্মসমর্পণকারীরা পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল লাল পতাকা), সর্বহারা, নিউ বিপ্লবী ও কাদামাটির অনুসারী। তাদের মধ্যে নওগাঁ জেলার ৭০, জয়পুরহাট ৮২, রাজশাহী ৬০, সিরাজগঞ্জ ৬৯, নাটোর ২৭, বগুড়া ১৫, ফরিদপুর ২৭, রাজবাড়ি ৩৪, খুলনা ৩৫, সাতক্ষীরা ৬, নড়াইল ২, যশোর ২, টাঙ্গাইল ৩১, পাবনা জেলা থেকে ১৩২ জন আছে। এদের মধ্যে ১৬ জন নেতা এবং ওয়ারেন্টভুক্ত ৩৪ জন। আত্মসমর্পণকারীদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তাদের আর্থিক সহায়তা এবং উপঢৌকন দেয়া হয়। আর্থিক সহায়তার পরিমাণ পুলিশ না জানালেও স্থানীয় পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে যে, সাধারণ সদস্যদের এক লাখ এবং যারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের ৫ লাখ বা তারও বেশি পরিমাণ টাকা দেয়া হয়েছে। তবে কাউকেই আটক করা হয়নি। এরা সকলেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।

চরমপন্থি নন স্বপন

চরমপন্থি নয় এমন লোককেও চরমপন্থি হিসেবে দেখিয়ে আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এদেরই একজন পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার স্বপন মন্ডল (৩০)। তিনি একজন ব্যবসায়ী। আমিনপুরের ঢালার চর ইউনিয়নের সিদ্দিক মোড় বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘স্বপন স্টোর’। তিনি জানান, ‘‘আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমি সার, বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা করি। লাইসেন্সও আছে। এছাড়া আমি চাল-ডাল ও ভুসির ব্যবসা করি। আমি একজন পাইকারি বিক্রেতা। বাজারের সবচেয়ে বড় দোকান আমার।”

তাহলে আত্মসমর্পণ করলেন কেন? এ কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনো চরমপন্থি দলের সদস্য নই। তাছাড়া আত্মসমর্পণের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমাকে মাঠে নিয়ে বসানো হয়। সেখানে দেখি ওটা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। তখন আমার আর করার কিছু ছিল না।”

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় আমাদের বিরুদ্ধ পক্ষ আমার নামে একটা মামলা করে। প্রতিবেশী মনসুর আমাকে বলে যে সে মামলাগুলো শেষ করে দেবে এবং আর যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা না হয়, তারও ব্যবস্থা করবে। আর সেটা করতেই আমাকে নিয়ে সেদিন পাবনা যায় সে।”

তিনি জানান, ‘‘অনুষ্ঠানে একটি ব্যাগে করে আমাদের এক লাখ করে টাকা দেয়া হয়। আমরা মাঠে বসা ছিলাম। তখন কিছু লোক মঞ্চে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ওই টাকা আমি রেখে দিয়েছি, ধরিনি। আমাকে কেন ওই টাকা নিতে হবে। আমি তো স্বচ্ছল ব্যবসায়ী।”

স্বপনের বাবা দুলাল মন্ডলও একই কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা এক গ্রুপের পক্ষে ছিলাম। তখন প্রতিপক্ষ গ্রুপ আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। ওই মামলা থেকে রেহাই দেয়ার কথা বলেই মনসুর মিয়া আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি তার জানা ছিল না।”

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা ব্যবসায়ী। বাজারে আমাদের বড় দোকান আছে। আমাদের এক লাখ টাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এখন এলাকায় বিষয়টি আমাদের জন্য সামাজিকভাবে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। আর কোনো সমস্যা নেই।”

এ নিয়ে মনসুরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে আমিনপুর থানার ওসি মনিউর ইসলাম জানান, ‘‘আমার এলাকা থেকে মোট সাতজন আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের মধ্যে মনসুর এবং স্বপন মন্ডল আছে। স্বপন মন্ডল এখন চরমপন্থি নয় দাবি করলেও আসলে সে চরমপন্থি দলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে। তাছাড়া তার একটি ছদ্মনাম আছে।”

তবে স্বপন মন্ডলের বিরুদ্ধে সর্বহারা চরমপন্থি হিসেবে কী কী মামলা আছে, তা তিনি জানাতে পারেননি। স্বপন ব্যবসায়ী কিনা এবং তার এক লাখ টাকার প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘যারা সর্বহারা তারাই আত্মসমর্পণ করেছে। তারাই টাকা পেয়েছে।”

ওসি অস্বীকার করলেও পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামের কাছে স্বপন মন্ডলের প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘‘চরমপন্থি নয় অথচ আত্মসমর্পণ করানো হয়েছে, এ রকম কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অর্থাৎ আত্মসমর্পণে কিছু ত্রুটি আছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করে দেখছি। তেমনটা হলে তাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।”

পাবনার এই আত্মসমর্পণকারীদের মোট ৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, নেতৃত্বের পর্যায়ে যারা আছেন তারা পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা করে। যেমন আমিনপুরের মনসুর পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।

সূত্রগুলোর দাবি, চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণের নামে কেউ কেউ বাণিজ্য করছে।

পুলিশ সুপার জানান, ‘‘এই টাকা তাদের প্রাথমিকভাবে পুনর্বাসনের জন্য দেয়া হয়েছে, সমিতি করার জন্য। যারা তাতে ভালোভাবে চলতে পারে। এরপর সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে। তবে এদের কোনো সরকারি চাকরিতে পুনর্বাসনের চিন্তা সরকারের নেই। অবশ্য চাকরি করার মতো তাদের বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই।”

প্রসঙ্গত পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সালে পাবনা অঞ্চলে চরমপন্থিদের হাতে ২৮৭ জন নিহত হন।

কী হবে কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে। স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসার প্রত্যাশায় আত্মসমর্পণ করলেও, তারা এখনো কারাগারে।

গত বছরের মে মাস থেকে আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৪৬১টি মামলা করা হয় এবং এ সব মামলায় অভিযুক্ত ১ হাজার ৫৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময়ে বন্দুকযুদ্ধে ৫৩ জন নিহত হন। এই প্রেক্ষাপটেই তাদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যার নেপথ্যে ছিলেন ইয়াবা ব্যবসায় আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। তাঁর তিন ভাই ও কয়েকজন আত্মীয়স্বজন আত্মসমর্পণ করলেও তিনি প্রকাশ্যেই আছেন। এই ইয়াবা ব্যবসার কারণেই গত সংসদ নির্বাচনে বদিকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ৷ বরং মনোনয়ন দেয়া হয় তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া- টেকনাফ) আসনে৷ তিনি নির্বাচনে জয়ীও হন।

আত্মসমর্পণের দু’মাস হয়ে গেলেও কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসা একটুও কমেনি৷ শুধু কৌশল আর ক্যারিয়ার পরিবর্তন হয়েছে৷ এছাড়া যারা আত্মসমর্পণ করে কারাগারে আছে, তাদের মাদকবিরোধী অভিযানে কাজে লাগানো ও পুনর্বাসনের কথা থাকলেও তা কবে হবে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না৷

আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আছে টেকনাফের তরুণ মোহাম্মদ জেবাইর। তার বাবা মোহাম্মদ ওসমান বলেন, ‘‘এমপি বদির কথায় আমার ছেলে আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি বলেছিলেন, আত্মসমর্পণ করলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। পুলিশ কোনো ঝামেলা করতে পারবে না। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে আমার ছেলে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা হয়নি৷ কবে হবে তাও জানি না। বদিও এখন আর কিছু বলছেন না। কয়েকদিন আগে আমি আমার ছেলের সাথে কারাগারে দেখা করেছি। সেও হতাশ হয়ে পড়েছে। আমাকে বলেছে, ‘‘বাবা আমার জন্য একটা কিছু করো।”

ওসমানের দাবি, তিনি মাছ ব্যবসায়ী। তার ছেলেও মাছ ব্যবসায়ী৷ মাছ ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আমি কীভাবে বলব? আমি তো তাকে মাছ ব্যবসা করতে দেখেছি। এই ব্যবসার কথা আগে শুনিনি, এখন শুনছি।”

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেন বলেন, ‘‘আত্মসমর্পণের শর্তেই আছে, তাদের বিরুদ্ধে আগে যে মামলা আছে সেগুলো তারা মোকাবেলা করবে। আর আত্মসমর্পণের সময় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছে, সেটা সরকার দেখবে। এ নিয়ে দেড়মাস আগেই কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি যাদের বিরুদ্ধে আগে মামলা নেই, তারা দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।”

এর বাইরে তাদের এবং তাদের আত্মীয়স্বজনের সম্পদ নিয়ে কাজ করছে দুদক, এনবিআর, সিআইডি-র মানি লন্ডারিং ইউনিট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। বেরিয়ে আসার পর তাদের পুনর্বাসন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘এদের সামাজিক পুনর্বাসন লাগবে। আর্থিক পুনর্বাসন লাগবে না। কারণ এদের দু-একজন বাদে সবাই ধনী।” কিন্তু দুদক যদি তাদের সম্পদ অবৈধ হিসেবে জব্দ করে, তাহলে তো আর্থিক পুনর্বাসন লাগবে? তাই না? এর জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সব সম্পদ তো আর জব্দ হয় না৷ যদি জব্দ হয় তখন দেখা যাবে।”

তারা এখন মাস্টাররোলে ‘বিশেষ আনসার’

১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বৃহত্তর খুলনা বিভাগের ৯ জেলার ২,০২৬ জন চরমপন্থি সাধারণ ক্ষমার আওতায় আত্মসমর্পণ করে। কেন্দ্রীয়ভাবে খুলনা ছাড়াও জেলায় জেলায় তারা আত্মসমর্পণ করে। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। আত্মসমর্পণের পর তাদের মধ্যে ৭৮৬ জনকে ‘বিশেষ আনসার’ হিসেবে চাকরি দেয়া হয়। তখন সবাইকে পুনর্বাসন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কথা বলা হলেও, ওই কয়জনকে বিশেষ আনসার হিসেবে চাকরি দেয়া ছাড়া আর কোনো উদ্যোগের কথা জানা যায় না। তাছাড়া বিশেষ আনসার হিসেবে তখন যারা চাকরি পায়, তাদের মধ্যে ৪৪৫ জন আজও চাকরিতে আছে। বাকিরা চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। আর দু-একজন মারাও গেছে।

তাদের যখন বিশেষ আনসার হিসেবে চাকরি দেয়া হয়, তখন তাদের মাসিক বেতন ছিল ২২৫০ টাকা। বর্তমানে মাসিক ১৩ হাজার টাকা পায় তারা। তবে তাদের চাকরি অস্থায়ী মাস্টাররোলে। তাই বোনাস বা অন্য কোনো ভাতা তারা পায়নি। এমনকি এতদিনেও তাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি।

বিশেষ আনসার হিসেবে চাকরি দেয়া হলেও, তাদের দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশের সঙ্গে থানায় থানায়। থানাগুলোতে তাদের জন্য আলাদা ব্যারাক আছে। আর সেখানেই তারা থাকে। এরকম একজন বিশেষ আনসার জানায়, ‘‘আমরা আসলে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ইতরের চেয়েও খারাপ অবস্থা আমাদের। ১৩ হাজার টাকায় দুই বাচ্চা আর স্ত্রী নিয়ে কোনোভাবেই চলা সম্ভব নয়। আমাদের সঙ্গের অনেকেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে হতাশ হয়ে চলে গেছে। তারা যেভাবে পারছে টিকে আছে। আর একই দায়িত্ব পালন করলেও আমরা চরম অবহেলার শিকার। আমাদের কোনো ভবিষ্যত নেই।”

শান্তিবাহিনীর আত্মসমর্পণ

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তির পরপরই চুক্তি মেনে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখা শান্তিবাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি প্রায় ২৫ হাজারের মতো দর্শকের উপস্থিতিতে শান্তিবাহিনীর নেতা সন্তু লারমা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার নিজের অস্ত্র জমা দেয়। শেখ হাসিনা তার হাতে তুলে দেন শান্তির প্রতীক সাদা গোলাপ। এরপর আরো তিন দফায় তারা আত্মসমর্পণ করে। চার দফায় মোট চার হাজারের মতো শান্তিবাহিনীর সদস্য সাধারণ ক্ষমার আওতায় আত্মসমর্পণ করে। তাদের মধ্যে কম-বেশি ৭০০ জনকে পুলিশে চাকরি দেয়া হয়। আর আত্মসমর্পণের সময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়৷। পুনর্বাসনের উদ্যোগ বলতে এ পর্যন্তই।

এদিকে গত বছর এবং চলতি বছর সুন্দরবনে এবং মহেশখালীতে কয়েক দফায় বনদস্যু ও জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয়। তাছাড়া সুন্দরবন একেবারে দস্যুমুক্ত হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে গেছে।

 

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button